মোঃ শামিম। তজুমদ্দিন প্রতিনিধি।
ভোলায় বাবা বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েকে ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ এনে জামাতার বিরুদ্ধে একাদিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন এমন অভিযোগ উঠেছে লালমোহন উপজেলার পৌর-সভার ৩নং ওয়ার্ডের ইউসুফ মিয়ার বিরুদ্ধে ।
তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের শম্ভুপুর গ্রামের বাসীন্দার মফিজ ২০০৩ সালে পাশ্ববর্তী লালমোহন উপজেলার পৌর-সভার ৩নং ওয়ার্ডের ইউসুফ মিয়ার মেয়ে বাক-প্রতিবন্ধী তার আপন ফুফাতো বোন তানিয়া-কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে তানিয়া তার বাবার বাড়িতে থাকেন মফিজ কর্মজীবনে শহরে থাকেন তাদের ঘরে দুটি কন্যা সন্তান আছে তানজিনা ও তিসা।
২০১৪ সালে পারি-বারিক একটি বিষয় নিয়ে প্রায় ৫ বছর ধরে জামেলা চলছিলো এর পর মফিজ ২০১৭ সালে একটি মামলা করেন স্ত্রী কে আনার জন্য। পরে কোন সমাধাণ না পেয়ে তার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে বিয়ে করেন। সেই গড়ে একটি ছেলে সন্তান আছে আলিফ তার বয়স ৩ বছর। এর পর তার প্রথম স্ত্রী বাক-প্রতিবন্ধী সেই সুযোগ নিয়ে একপর্যায়ে তার শ্বশুর শাশুড়ি মিলে তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালে তার শশুর ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ১টি মামলা করেন।
মফিজের শশুর শাশাড়ি শালা-রা প্রায় বিভিন্ন সময় মফিজ ও তার মা বাবা ভাই কে একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। মামলার পিছনে যত টাকা লাগে ব্যয় করবে আরও মামলা খাইবে এমন হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন।
২০২০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় প্রায় ২মাস জেলে খাটেন। পরে জামিনে বের হন, এর পর তার শ্বশুর ৩০-লক্ষ টাকা দাবি করে আরও একটি মামলা করেন। তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়াল-মাড়া সন্ত্রাস লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ইউসুফ মিয়ার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ এনে তার মা বাবা বাই বোন সহ তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেন।
মামলার সুত্র ধরে বিষয়টি নিয়ে মামলার সাক্ষীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা জানান, ইউসুফ মিয়া মামলার সাক্ষী দিয়েছেন তাদেরকে না জানিয়ে। এই বিষয় তারা কোন কিছু যানেন না যেই অভিযোগ এনে মফিজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এমন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে নাই তাদের এলাকায়।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায় মফিজের প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, মফিজ কর্মজীবনে শহরে থাকেন বিয়ের পর থেকে তার দুই সন্তান সহ তার স্ত্রী তার শশুর বাড়িতে থাকেন। মফিজ শহর থেকে শুটিতে বাড়িতে আসলে মাঝে মধ্যে তার দুই মেয়ে সহ বউ নিয়ে তার বাড়িতে বেরাইতে আসেন ৪ থেকে ৫ দিন থাকার পর তাদের কে শশুর বাড়িতে রেখে কর্মজীবনে শহরে চলে যান । তার বউকে মারতে কখনো তাদের চোখে পরেনি, মফিজ শান্তশিষ্ট বলে জানান তারা।
মফিজ জানান তার প্রতিবন্ধী স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে সাক্ষী দেন তিনি সেই মামলার সাক্ষী না দেওয়া তার দুইটি সন্তান নষ্ট করে দেন তার শাশুড়ি। এর পর তাকে একের পর এক হুমকি দামকি দিয়ে যাচ্ছেন তার স্ত্রীর সাথে সন্তানের সাথে কোন ভাবে যোগাযোগ করতে দেন না। বিষয়টি তার মা বাবা আত্মীয় স্বজনকে জানানোর পরেও কোন সমাধান পাননি পরে তিনি বিয়ে করেন এর পর থেকে তাকে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছেন।
একপর্যায়ে মফিজের বাকপ্রতিবন্ধী স্ত্রী ও তার শ্বশুর মিলে তার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দিয়ে হয়রানী করছে এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ফ্যামিলির সদস্য ও স্থানীয় কয়েকজন নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪-এপ্রিল) তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করেন।
মফিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিত্তিতে ইউসুফ এর সাথে মোটু ফোনের মাধ্যমে একাদিক যোগাযোগ করার পর ইউসুফ জানান বিষয় টা নিয়ে কোন কথা বলতে চান না । মামলার বিষয় কোন তথ্য দিতে পার বেন না । তার কাছ থেকে মামলার উল্লেখিত অভিযোগ এর বিষয় জানতে চাইলে তারও কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে তার কোটি টাকার সম্পতির গল্প শুনান।
এডবুকেট মনিরুল ইসলাম জানান বাগ প্রতিবন্ধী মেয়েকে দিয়ে একের পর এক যেমন মামলা করে যাচ্ছেন বাবা একই ভাবে পরিবার টি ধ্বংস করে দিচ্ছেন। যেই দুইটি নাতনীর রয়েছে তারাও সব চাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে । আদালত দুইটি সন্তানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি দূরত্ব সমাধান দিবেন । মেয়ের বাবার কোন অপরাধ করে থাকে তাহলে আদালতের মাধ্যমে যেন তার বিচার করা হয়।